মে হ বু ব গা য়ে ন-এর কবিতাগুচ্ছ

0
97
কবি পরিচিত – জন্ম ১৯৯৮ খ্রিঃ ১৬ ই জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সাগর থানার ধবলাট শিবপুর গ্রামে ।। বাবা – মোবায়দুল গায়েন ,মা – নাসিমা গায়েন ।। এখন তৃতীয় বর্ষ গনিত অর্নাস । প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ – সাদা সাইকেল ।
সাহিত্য ভান্ডারে ভরে উঠুক প্রকৃতির ভালবাসায় কবিতার নতুন রূপ,
কবিতা চলতে থাকুক গাণিতিক সূত্রের মতো অসীম অভিযানে…

মে হ বু ব গা য়ে ন

রসায়ন রাবণ

আলো নীল বিজ্ঞানী
সব ভৌত রহস্য বোঝায় – ওদের মাস্টার ..
আমি রসায়নে রাবন বানাই
রাম- আগুন -সীতা
বিজ্ঞান জীবনে বংশ সংলাপ –
প্রোটন,নিউটন ,ভাজ করা ইতিহাস …

বিন্দু থেকে সরলরেখা

জীবন রেখা বিন্দু
গানিতিক নিয়মে প্রথম বন্ধনী,দ্বিতীয় বন্ধনী,তৃতীয় বন্ধনী শেষে চিহ্ন সমান
ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বর্গক্ষেত্র –
পৃথাগোরাস আমিও ।

অস্থাবর তিল

এক পালক ভাতে
লিখি তোমাকে,
ও নামে ফুটো ওঠে চোখ
ও চোখে জল ব্যথা এলে
কালি শব্দ যোগ – বিয়োগ
উঠে আসো আমার অস্থাবর তিল..

বড় কাগজ

তোমাকে ভাঙছি
কালি অক্ষর ,
নদী রঙে কবিতা -সবুজ ঘর কাব্যমালা..
শব্দ খেলা গুরুদেব বড় কাগজে
সাদা জামা জুড়ে কৃষ্ণচূড়া
তোমাকে ভাঙি লিখে রাখি বয়স কথা….

অভাবী নিয়ম

তোমারও ঘর ভাদ্র
কোন অভাবে গাছ হয়ে ওঠো
হয়ে যাও বিপরীত পথ..
জীর্ণ দেওয়ালে ঝোলানো বিষন্ন কাল..
তোমার কাল শুরু হয় গ্রস্তরোগ চাঁদ
সাজানো ডালে আলো বেচে সম্প্রতি, জসিম
নিদেশে বাধা তাঁর পাতা বিধান

তুমিও অলিখিত খাতা স্মিল করো অভাবী নিয়ম…

পলাশও সন্ন্যাস হয়ে যায়

চশমার ছায়ার ওপারে তোমার পৃথিবী
আলেয়া রঙে ভাসাই শিল্প -ঘর
তোমার অপেক্ষাতে – আমি শীতল স্রোত
মাঝারি নৌকায় খেলে যায় নোনা জীবন
সেদিনের চাঁদ মাসে মাছেদের প্রনয় উৎসব
সেইসব স্বপ্ন চোখে কবিতা আকাশ –
পলাশও কখন সন্ন্যাস হয়ে যায়…

উৎসব পাললিক

অভিমান ছিল অববাহিকা চোখে,
সেই চিহ্নিত মেঘ গুড়ো জল
তোমার উৎসব পাললিক
আমি কোরাসের স্নিগ্ধ জলবায়ু..

দুঃখের সমবয়স

বারুদ সাজিয়ে ফেরে আমার আনুমানিক সকাল
নদী মুখ বোঝে কাঠের আত্মহত্যা
তুমি ধুলো রঙে ভেসে যাও
আলো তারায়
গোলাপ দিনেও তোমার গল্প সাজানো প্রেমিকার চোখে কাজল চৈত্র ,
দুঃখের সমবয়স, প্রাক্তন কাছে হারছি আমিও….

তৃষ্ণা

শব্দের আলোকবর্ষ
কাগজ শিশু, প্লাস্টিক খাবার দোকান
দরজা-জানালা – ছাদ
মেঘ সার্জারি শেষে – তুমি তৃষ্ণা হয়ে যাও …

হাত শূন্য শিলান্যাস

হাতের শূন্য শিলান্যাস
বাংলা গ্রাম আমাদের ধান উৎসব,
মাচান ভরে
তিল মেয়ের দীন ভাত

মুখোমুখি – মুখের হারানো ভীড়ে মুখোশ ধরা যাক – আমার বিনীত শব্দ ব্যবহার…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here