“উপহার”-সিদ্ধার্থ সিংহ

0
126
১৯৬৪ সালে সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। ১৫ বছর বয়সেই তাঁর প্রথম কবিতা ছাপা হয় ‘দেশ’ পত্রিকায়। প্রথম ছড়া ‘শুকতারা’য়। প্রথম গদ্য ‘আনন্দবাজার’-এ। প্রথম গল্প ‘সানন্দা’য়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহল তোলপাড় হয়।পাঁচ কোটি টাকার মামলাও হয়। ছোটদের জন্য যেমন সন্দেশ, শুকতারা, আনন্দমেলা, কিশোর ভারতী, ছাড়াও বর্তমান, গণশক্তি, রবিবাসরীয় আনন্দমেলা-সহ সমস্ত দৈনিক পত্রিকার ছোটদের পাতায় লেখেন, তেমনি বড়দের জন্য লেখেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ এবং মুক্তগদ্য। এ পর্যন্ত প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা দুশো পঁতাল্লিশটি। তার বেশির ভাগই অনুদিত হয়েছে বিভিন্ন ভাষায়। বেস্ট সেলারের সূচকও ছুঁয়েছে বেশ কিছু। এ ছাড়া যৌথ ভাবে সম্পাদনা করেছেন লীলা মজুমদার, রমাপদ চৌধুরী, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, মহাশ্বেতা দেবী, শংকর, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা ভট্টাচার্য, নবনীতা দেবসেন, রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়দের সঙ্গে। তাঁর লেখা নাটক বেতার সম্প্রচার যেমন হয়েছে তেমনই মঞ্চস্থও হয় নিয়মিত। তাঁর কাহিনি নিয়ে ছায়াছবিও হয়েছে বেশ কয়েকটি। গান তো লেখেনই। মিউজিক ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করেছেন বেশ কয়েকটি বাংলা ছবিতে। তাঁর ইংরেজি এবং বাংলা কবিতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কয়েকটি সিনেমায়। বানিয়েছেন দুটি তথ্যচিত্র। তাঁর লেখা পাঠ্য হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদে। ইতিমধ্যে পেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, সন্তোষকুমার ঘোষ স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, নতুন গতি পুরস্কার, ড্রিম লাইট অ্যাওয়ার্ড, কমলকুমার মজুমদার জন্মশতবর্ষ স্মারক সম্মান, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার ছাড়াও পেয়েছেন ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের ‘শ্রেষ্ঠ কবি’ এবং ১৪১৮ সালের ‘শ্রেষ্ঠ গল্পকার’-এর শিরোপা।

উপহার

সি দ্ধা র্থ সিং হ

পঁচিশ বছরের বিবাহবার্ষিকীতে ওঁরা এত উপহার পেয়েছেন যে, উপহারের মোড়ক খুলতে খুলতেই ওঁরা ক্লান্ত। তবু তারই মধ্যে একটি ইন্ডাকশন কুকারের প্যাকেট খুলে যখন রিয়া বললেন, বাহ্, খুব ভাল হয়েছে। তখন মায়ের সঙ্গে মোড়ক খোলায় হাত লাগানো তাঁর সতেরো বছরের মেয়ে বলল, কী গো?
রিয়া বললেন, ইন্ডাকশন। তোর টুকিটাকি জিনিসগুলো এ বার থেকে এটাতেই করব। আর এটাতে তো আগুনের কোনও ব্যাপার নেই। ইলেকট্রিকের এবং খুব সেফটিও। ফলে তুইও এটা ব্যবহার করতে পারবি।
মেয়েকে কখনও আগুনের কাছে যেতে দেন না রিয়া, যাতে মেয়ের গায়ের রং পুড়ে না যায়। জামাকাপড় কাচতে দেন না, যাতে হাতে কড়া পড়ে না যায়। আনাচও কাটতে দেন না, যদি আঙুল কেটে যায়! কিন্তু মেয়ে এ সব করতে চায়। তার আর পাঁচটা বন্ধুর মতোই। কিন্তু মা করতে দিলে তো! তাই মা যখন বললেন, ‘তুইও এটা ব্যবহার করতে পারবি, তখন খুশিতে ডগমগ হয়ে মায়ের পাশে এসে প্যাকেট থেকে বের করে ইন্ডাকশনটা দেখতে লাগল। প্যাকেটের ভিতরে ছিল, কুকারটি কী ভাবে ব্যবহার করতে হয়, তার নিয়মাবলি সম্বিলিত কয়েকটি পাতার একটি পুস্তিকা এবং তার সঙ্গে দু’-তিনটি কাগজ। মেয়ে সেগুলো দেখতে দেখতে হঠাৎ তার মাকে বলল, এটা কে দিয়েছে গো?
রিয়া বললেন, কেন?
মেয়ে বলল, বিলে তো দেখছি এটা কেনা হয়েছে সতেরো বছর আগে।
রিয়া বললেন, মানে?
মেয়ে বলল, হ্যাঁ, দেখো না, এই তো বিল।
রিয়া অবাক। মেয়ে বলল, কে দিয়েছে? ট্যাগটা কোথায়?
মা ট্যাগ খুঁজতে লাগলেন। আসলে এতগুলো উপহার। তিন দিন ধরে খোলাখুলি চলছে। মোড়ক-টোড়কগুলো, যেগুলো প্রচুর সেলোটেপ-ফেপ মারা, খুলতে গিয়ে ছিঁড়ে যাচ্ছে, সেগুলোর ছেঁড়া টুকরো যাতে ঘরময় ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য আগেই উপহারগুলো থেকে ট্যাগগুলো টান মেরে মেরে ছিঁড়ে একটা বড় পলিব্যাগে ভরে রেখেছেন। আর যে মোড়কগুলো খোলার পরেও শেষ পর্যন্ত গোটা থাকছে, সেগুলো পাঠ-পাঠ করে ভাঁজ করে রেখে দিচ্ছেন, এর তার জন্মদিনে পেন-টেন বা ওই জাতীয় ছোটখাটো কোনও উপহার দেওয়ার সময় এগুলোর খুব দরকার হয়। তাই রিয়া কোনও উপহার পেলেই মোড়কগুলো সন্তর্পণে খুলে খুব যত্ন করে গুছিয়ে রেখে দেন।
কিন্তু মেয়ে যখন বলল, কে দিয়েছে? ট্যাগটা দ্যাখো তো। তখন তিনি খুব সমস্যায় পড়ে গেলেন। সবগুলোর ট্যাগই তো ওই প্যাকেটে ঠেসেঠুসে ঢুকিয়ে দিয়েছেন। এখন কোন ট্যাগটা এটার সঙ্গে লাগানো ছিল, সেটা বুঝবেন কী করে! আর তার থেকেও বড় কথা, সবগুলো উপহারের সঙ্গেই তো আর ট্যাগ লাগানো ছিল না! বিশেষ করে ছোটখাটো, খুচখাচ এবং কমদামি ম্যাড়মেড়ে উপহারগুলোর সঙ্গে তো নয়ই। তাই রিয়া মনে করার চেষ্টা করতে লাগলেন, এটার সঙ্গে আদৌ কোনও ট্যাগ লাগানো ছিল কি না…
এটা একটু দামি উপহার। যে বা যিনি দিয়েছেন, তিনিই যে এটা দিয়েছেন, সেটা জানানোর জন্য তিনি নিশ্চয়ই তাঁর নাম-ধাম লিখে সুন্দর একটা ট্যাগ এটার গায়ে ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। আবার এমনও হতে পারে, কাউকে উপহার দেবেন বলে এক সময় উনি এটা কিনেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আর সেই নিমন্ত্রণে যেতে পারেননি, তাই এত যত্ন করে তিনি এটা তুলে রেখে দিয়েছিলেন যে, পরে এটার কথা তাঁর আর মনেই পড়েনি। হয়তো পরিষ্কার-টরিষ্কার করতে গিয়ে কিছু দিন আগে এটার হদিশ পেয়ে ঠিক করে রেখেছিলেন, সদ্য নিমন্ত্রণ পাওয়া ওদের পঁচিশ বছরের অ্যানিভার্সারিতে তো ভাল কিছু একটা দিতেই হবে, ভালই হল, এটা দেওয়া যাবে। তাই এটা দিয়েছেন। অনেক দিন আগে কেনা ইন্ডাকশন কুকারটা কেমন আছে, প্যাকেটের ওপর দিয়ে তো আর বোঝার কোনও উপায় নেই, যতই মোড়ক করা থাক, পড়ে থেকে থেকে কেমন যেন একটু পুরনো-পুরনো হয়ে গেছে… তাই আর রিক্স নেননি। উপহার হিসেবে ওটা দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু কে দিয়েছেন, সেটা যাতে বুঝতে না পারে, সে জন্য কোনও ট্যাগই লাগাননি। আর তাঁরা যখন উপহার নিয়েছেন, তখন তো আর ওষুধ কেনার মতো চেক করে নেননি যে, এক্সপায়ারি ডেট পার হয়ে গেছে কি না! তাই…
ভেতর ঘরে ছিলেন রিয়ার স্বামী। বউ-মেয়ে আজও এতক্ষণ ধরে কী করছে, দেখার জন্য এই ঘরে ঢুকতেই তাঁর মেয়ে বলল, বাবা দেখো, তোমাদের কোন আত্মীয় বাড়ি-সুদ্ধু নিমন্ত্রিতদের সামনে বড় মুখ করে কী সুন্দর একটা পুরনো জিনিস গছিয়ে দিয়ে গেছেন।
বাবা জানতে চাইলেন,কী?
মেয়ে বলল— ইন্ডাকশন কুকার।
— ভালই তো কাজের জিনিস।
— আরে বাবা, কাজ করা গেলে তো!
— কেন?
— ধ্যাৎ, এটা তো সতেরো বছর আগে কেনা।
— সতেরো বছর আগে! বলিস কী?
— হ্যাঁ, এই তো, দেখো না, বিল আছে তো…
— দেখি দেখি দেখি। ওর বাবা বিল হাতে নিয়ে চমকে উঠলেন। বললেন, এটা কে দিয়েছে?
মেয়ে বলল, সেটাই তো বোঝা যাচ্ছে না!
রিয়া বললেন, কেন? তুমি কি তাকে গিয়ে ধরবে নাকি?
— না না আসলে…
— আসলে কী? মেয়ে জিজ্ঞেস করতেই বিলটা মেয়ের দিকে এগিয়ে দিয়ে ওর বাবা বললেন, বিলটা কার নামে, সেটা ভাল করে দ্যাখ।
মেয়ে হাতে নিয়ে বলল, ওমা, এখানে তো তোমার নাম দেখছি। তার মানে যারা দিয়েছে, তারা কি সতেরো বছর আগে তোমাদের কোনও বিবাহবার্ষিকীতে এটাই দেবে বলে কিনেছিল! কিন্তু তখন কোনও কারণে আর দিতে পারেনি বলে এই সতেরো বছর পরে তোমাদেরই দিল! শুধু তোমাদের নামে কিনেছিল বলে!
ওর বাবা বলল, না না, তা না। এটা আমিই কিনেছিলাম।
রিয়া সঙ্গে সঙ্গে ঘাড় ঘুরিয়ে স্বামীর দিকে তাকিয়ে বললেন, তুমি কিনেছিলে মানে? ও, তার মানে তুমি এমন কোনও মহিলাকে নিমন্ত্রণ করেছিলে, লোকজনের সামনে আমাদের বিবাহবার্ষিকীতে খালি হাতে আসার অসম্মানের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য তুমি নিজেই তাকে এটা কিনে দিয়েছিলে? কে সে? অরুণিমা? বিপাশা? না অস্মিতা?
উনি বললেন, কী এ সব যা তা কথা বলছ?
— ও, তুমি যা তা কাজ করতে পারবে, আর আমি বলতে গেলেই দোষ?
— আরে সে সব নয়…
— তা হলে? ও আচ্ছা, দাঁড়াও দাঁড়াও দাঁড়াও। সতেরো বছর আগে! সতেরো বছর! তা হলে কি মেয়ের মুখেভাতে দেওয়ার জন্য আমাদের নাম করে কেউ এটা কিনেছিল?
— না না, আমার মনে হয়, কেউ বোধহয় সতেরো বছর আগে, সে বিয়েই হোক কিংবা মুখেভাত অথবা বিশেষ কারও জন্মদিন, আমাদের হয়তো নিমন্তন্ন করেছিল। আমরা এই ইন্ডাকশনটা তাদের উপহার দিয়েছিলাম। আমার মনে হয়, কোনও কারণে তারা হয়তো প্যাকেটটাই খোলেনি!
মেয়ে বলল, এমনও হতে পারে, এটা তো কারেন্ট ছাড়া চলে না, যাদের দিয়েছিলে তাদের বাড়িতে হয়তো কারেন্টই নেই।
— কারেন্ট নেই এ রকম বাড়ি আবার আছে নাকি? ওর মা বলতেই মেয়েটি বলল, হয়তো সতেরো বছর আগে ছিল না!
— সে যাই হোক, এটা যে আমি কিনেছিলাম সেটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। কারণ, বিলটার নীচের বাঁ দিকে আমার সই আছে।
— তোমার সই? তোমার সই লেগেছিল কেন?
উনি বললেন, তখন এই ধরনের কোনও কিছু কিনলে, যিনি বিক্রি করছেন, তাঁকে বিলের ডান দিকে, আর যিনি কিনছেন, তাঁকে বিলের বাঁ দিকে সই করতে হত। বিশেষ করে গ্যারান্টি পিরিয়ডের জন্য। জিনিসটা কবে তৈরি হয়েছে, কবে গোডাউন থেকে দোকানে এসেছে, সেটা হিসেব করা হত না। যে দিন বিক্রি হত, সে দিন থেকেই গ্যারান্টি পিরিয়ড শুরু হত। ফলে যিনি বিক্রি করছেন এবং যিনি কিনছেন, তাঁদের দু’জনকেই সই করতে হত। বলতে পারিস, ওটা ছিল একটা ছোটখাটো চুক্তিই।
— সে কী! মেয়ের মুখ থেকে অস্ফুট বেরিয়ে এল।
বাবা বললেন, যাদের দিয়েছিলাম, তারা পুরো প্যাকেটটাই ইনট্যাক্ট রেখে দিয়েছিল। এত বছর পরে তারাই আমার দেওয়া সেই উপহারটাই আমাকে ফিরিয়ে দিল।
মেয়ে বলল, তার মানে, তোমরা যাদের দিয়েছিলে, তাদের নেমন্তন্ন করতে হয় বলে করেছিলে, আসলে তাদের সঙ্গে তোমাদের কোনও সদ্ভাব নেই।
রিয়া বলল, হতে পারে!
স্বামী বললেন, সে রকম কে আছে! কে আছে! কে আছে!
মেয়ে বলল, আবার এমনও হতে পারে, তুমি যাদের দিয়েছিলে, তারা সেটা অন্য কারও বিবাহ বা অন্নপ্রাশনে দিয়ে দিয়েছিল। যাদের দিয়েছিল, তারা আবার অন্য কাউকে দিয়েছিল। এই ভাবে উপহার হিসেবে এ হাত ও হাত সে হাত ঘুরতে ঘুরতে আবার তোমাদের হাতে এসে পড়েছে। হতেই পারে!
বাবা বললেন, তুই যে কী বলিস না! কোনও মাথামুণ্ডু নেই। যাই হোক, যে দিয়েছে, তাঁকে তো আর খুঁজে পাওয়া যাবে না!
— একেবারেই যে পাওয়া যাবে না, সে কথা বলো না। ওই দিন তো ভিডিও করা হয়েছিল। সেই ভিডিওর ফুটেজ চেক করলেই হয়তো পাওয়া যেতে পারে, কে দিয়েছে।
— পেলেও কী লাভ? পেলে তো আর বলা যাবে না যে, আপনি আমাদের ম্যারেজ অ্যানিভার্সারিতে এটা কী দিয়ে গেছেন? নিয়ে যান। পারলে এর পরিবর্তে অন্য কিছু দিয়ে যান। আমরা এটা নেব না। না পারলে আপনাকে কিছুই দিতে হবে না। তবু এটা নিয়ে যান।
মেয়ে বলল, বাবা… তুমি না… কোনও দিনও পাল্টাবে না…
রিয়া বললেন, সত্যি… তুমি যে কী বলো না! এ সব আবার বলা যায় নাকি?
উনি তখন মেয়ের দিকে তাকিয়ে বললেন, তা হলে এটা কি করবি?
অন্য আর একটা উপহারের মোড়ক খুলতে খুলতে রিয়া বললেন, যে ভাবে প্যাকেট করা ছিল, ঠিক সে ভাবেই আবার প্যাকেট করে রাখব।
স্বামী বললেন, কেন?
—কেন আবার? সামনে অমরেশদার বিবাহবার্ষিকী আছে না? সেখানে দিয়ে দেব। দরকার হলে নতুন সেলোফেন পেপার এনে আরও সুন্দর করে একেবারে দোকানের মতো প্যাকেট করে দেব।
মেয়ে বলল, তা দাও, তবে ভুল করেও কিন্তু ওই প্যাকেটের মধ্যে আবার বিলটা ভরে দিয়ো না…
রিয়া বললেন, না না, বিল তো দেবই না। কোনও ট্যাগও লাগাব না। একদম না।
বউয়ের কথা শুনে একটুক্ষণ চুপ করে থেকে স্বামী শুধু বিস্ময়ের সুরে বললেন, আবার?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here