“গরীবের ঘোরা রোগ”-এ রুমকি রায় দত্ত-র মণিপুর ভ্রমণ(২য় পর্ব)

0
97
পরিচিতিঃ জন্ম ও বড়ো হওয়া মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কায়। সেরিকালচার ও বাংলা বিষয়ে স্নাতক। বাংলায় স্নাতকোত্তরের পরই লেখার জগতে প্রবেশ ছোটো গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণ সাহিত্যের হাত ধরে। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার পাশাপাশি প্রকাশিত বই দুটি- ছোটো গল্প ‘যাপ্যযাত্রা’ (শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ ২০১৮ হিসাবে ডা: ব্রজগোবিন্দ সাহা পুরস্কারে ভূষিত) ও নভেলা গ্রন্থ ‘আমি বৃক্ষপুরুষের প্রেমিকা’।

 

গরীবের ঘোরা রোগ-এ রুমকি রায় দত্তর মণিপুর ভ্রমণ

 

মণিপুরের পথে পথে

২য় পর্ব

 

পরেরদিন অন্ধকার থাকতেই উঠে পড়লাম আমরা। মনিপুর শিলচর থেকে অনেকটা পথ। সাড়ে ছ’টা থেকে সাতটা’র মধ্যে বেরতে হবে। এই রুটে প্রতিদিন গোটা চার-পাঁচ সুমোগোল্ড গাড়ি যাওয়া-আসা করে। আমরা তেমনই একটা রুটের গাড়ি আগেরদিন রাতেই বুক করে রেখেছিলাম বুকিং কাউন্টার থেকে। মেইন রাস্তার উপরেই এদের কাউন্টার আছে। ড্রাইভারের কাছে শুনলাম, প্রায় আটঘন্টার রাস্তা। একটু হাত-পা ছড়িয়ে বসার জন্য আটটা সিট বুক করা হয়েছে। নর্থ-ইস্টের এই রাজ্যগুলোতে বাঙালি পর্যটকেরা খুব কমই আসেন। তার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটা কারণ ভয়। চুরি, ছিনতাই, অপহরণ নানা দুষ্কর্মের স্বর্গরাজ্য বলেই পরিচিত এই রাজ্যগুলো। আমরা আসব শুনে অনেকেই বাঁধা দিয়েছিলেন এইসব গল্প শুনিয়ে। এইসব গল্পকথা ,অপপ্রচার না প্রচার জানি না। মিজোরামে আমরা তো কোনো সমস্যায় পড়িনি, তবে আগামীতে কি হবে যেহেতু জানা নেই, তাই একটা অজানা উৎকন্ঠা যে মনের ভিতরে একেবারেই জন্মায়নি এমনটা দাবি করতে পারি না।
ঠিক সাতটা দশ বাজে তখন ঘড়িতে। আমরা ছাড়া আর দু’জন মনিপুরের যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করল আমাদের গাড়ি। ড্রাইভার একটি বাচ্চা ছেলে। শিলচরের ব্যস্ত শহুরে রাস্তা ছেড়ে এগিয়ে চলেছে গাড়ি। পথের দু’পাশে সরে সরে যাচ্ছে দোকানপাট। হঠাৎ চোখে পড়ল ‘দৈনিক যুগশঙ্খের’ অফিস। আজকাল সমসাময়িক অনেক লেখক-লেখিকারা লেখেন এই কাগজে। মাঝে মাঝেই ফেসবুকে দেখি তাঁদের পোস্ট প্রকাশিত লেখার ছবিসহ। একটা আলতো অনুভবে ভরে ওঠে মন। অচেনার মাঝে খুঁজে ফিরি চেনা-পরিচিত কাউকে। হয়তো এখনই দেখব ফেসবুকের কোনো বন্ধু হেঁটে যাচ্ছেন এই পথে। পৃথিবীটা ছোটো হতে হতে এখন হাতের মুঠোয়।

বেশ তো ভালোই চলছিল গাড়িটা, কিন্তু হঠাৎ থেমে গেল। কেন থেমে গেল! গাড়িতে বসে ভাবছি তখন। বাইরে তাকিয়ে দেখলাম, রাস্তার ঠিক বামদিকে একটা টায়ারের লিক্‌সারাই-এর দোকান আর ঠিক তার পাশেই একটা বউ গরম গরম রুটি ভাজছে। বুঝলাম ব্যাপারটা। ব্রেকফাস্টের আয়োজন। সকালে বেরোনের আগে একটা করে ডিমসিদ্ধ খেয়ে বেরিয়েছিলাম। দুপুরের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে পেটপুরে নিজেরাও খেলাম আর ছেলেকেও খাওয়ালাম। হোটেল ম্যানেজার চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন হাফ্‌ এ্যবুমিন রাতে দিতে আর হাফ্‌ সকালে খালি পেটে। বমি হলে উঁনি হোটেলের ভাড়া ফেরৎ পাঠাবেন। তাই করেছি, বাকিটা পরের সময় বলবে।
খাওয়া তো প্রায় আধঘন্টা আগেই শেষ হয়েছে সব যাত্রীর, তবু কেন গাড়ি দাঁড়িয়ে ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না। দেখতে দেখতে ঘড়ির কাঁটা এগিয়ে চলেছে। প্রায় দেড়ঘন্টা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা সবাই, কিন্তু গাড়ি ছাড়ার নাম নেই! হলো টা কী? যা হয়েছে,তা শুনে সবার মাথায় হাত! সামনের চেকপোস্টে স্পেশাল চেকিং চলছে আর আমাদের গাড়ির কোনো রুট পারমিট নেই অর্থাৎ যতক্ষণ সেখানে চেকিং চলবে, আমাদের গাড়ি যাবে না। কতক্ষণ চলতে পারে চেকিং? কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। দুপুর দুটো পর্যন্তও চলতে পারে। সর্বনাশ! উপায় কী তবে? মনিপুরের মতো জায়গায় যেখানে সন্ধে সাতটার মধ্যে রাস্তা-ঘাট ফাঁকা হয়ে যায়, সেখানে মাঝরাতে পৌঁছে আমরা কীভাবে সব সামলাব! জানা-অজানা কাল্পনিক সব দুঃশ্চিন্তা মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে শুরু করল। পারমিট আছে এমন দুটো গাড়ি পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল,কিন্তু আমাদের তো উপায় নেই কোনো।

হঠাৎ দেখলাম ড্রাইভার আমাদের গাড়িতে উঠতে বলল। সাথে ঐ খাবার দোকানের একটি বছর আঠারোর ছেলেও আমাদের সাথে গাড়িতে বসল। গাড়ি ব্যাক গিয়ারে কিছুটা পিছিয়ে পিছনে ঘুরে বেঁকে গেল ডানদিকের একটা কাঁচা রাস্তায়। যা হচ্ছে দেখাই যাক ভেবে আমরা সবাই চুপচাপ বসে রইলাম গাড়িতে। ক্রমশ গ্রামের ভিতরে অচেনা পথে ঐ ছেলেটির নির্দেশ মতো এগিয়ে চলল আমাদের গাড়ি। শিলচরের এক অখ্যাত গ্রাম,যা আমাদের দেখার কথা নয়,তার দেখা পেয়ে মন তখন উৎকন্ঠা মুক্ত। কখনও কখনও অজানার হাতে ছেড়ে দিতে হয় জীবনকে। যিনি প্রাণ দিয়েছেন,রক্ষা করবেন তিনি। সমস্যার সৃষ্টি যখন হয়েছে সমাধানের পথও নিশ্চিত আছে। প্রায় পঁয়ত্রিশ মিনিট পর আমাদের গাড়ি উঠে এলো প্রধান রাস্তায়। একটা দোকানের সামনে ঐ ছেলেটি নেমে গেল আর আমাদের গাড়ি আবার এগোতে লাগল সামনের পথে।

অনেকটা সময় পিছিয়ে পড়েছি আমরা। গাড়ি আর মাঝে হয়তো কোথাও থামবে না। বেশ ঘন্টা দুয়েকের পথ মসৃণ কালো পিচের উপর দিয়ে ছুটে চলল দু’পাশে সবুজের সমারহ! প্রাণ জুড়ানো প্রকৃতির রূপদৃশ্যে মোহিত হতে হয়। পথে সবুজ পাহাড়ের ঢালে কোথাও কোথাও চোখে পড়ে চেঁড়া বাঁশের চাটাই দিয়ে তৈরি ঘর,চারটে বাঁশের খুঁটির উপর দাঁড়িয়ে,কিন্তু কোনো মানুষের দেখা মেলে না। যত আসাম ছেড়ে মণিপুরের পথে এগোতে লাগলাম,রাস্তার অবস্থা তত খারাপ হতে লাগল। এবড়ো খেবড়ো ভাঙাচোড়া ধুলো মাটি মেশানো রাস্তায় শরীরের সবক’টি হাড় আস্ত রেখে বসে থাকাই যেন ক্রমশ দুষ্কর হয়ে উঠছে। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য গুলির প্রতি অবহেলার চিহ্ন অত্যন্ত স্পষ্ট। একপাশে খাদ আর আরেক পাশে পাহাড় রেখে এমন দুর্বিসহ রাস্তায় চলা সত্যিই অসহনীয় প্রায়,তবু ভারতবর্ষের আর্থিক কাঠামোর নিরিখে এই পথে, এভাবেই যেতে হয় বেশিরভাগ মানুষকে। এটাই ভারতবর্ষের বাস্তব চিত্র!
সকাল সাতটাই যাত্রা শুরু করেছিলাম,ঘড়িতে যখন সন্ধে সাতটা দূর থেকে দেখতে পেলাম ঝলমলে আলোক সজ্জিত এক সুদীর্ঘ ফ্লাইওভার। ওর উপর দিয়েই আমরা প্রবেশ করলাম মনিপুরের রাজধানী ইম্ফলে। হোটেল আগে থেকে ঠিক করা সত্ত্বেও উঠলাম গিয়ে ভুল ঠিকানায়। আসলে ক্লাসিক গ্রুপের দুটি হোটেল আছে ইম্ফলে। আমাদের বুকিং করা হোটেলটিতে পৌঁছাতে গেলে বেশ কিছুটা পথ হেঁটেই যেতে হবে। ঘড়িতে সাড়ে সাতটা। শুনেছিলাম এই সময় ইম্ফলে রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে যায়। তাকিয়ে দেখলাম বেশ ফাঁকা ফাঁকাই যেন। অচেনা জায়গায় নির্জনতা যেন বোবা হয়ে থাকে! ভুলে ঢুকে পড়া হোটেল থেকে লাগেজ নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বড়ো রাস্তায় পৌঁছাতেই বুকের ভিতরে ছমছম করে উঠল। এইসব রাজ্যগুলো সম্পর্কে আসার আগে যত খারাপ খারাপ কথা শুনে ছিলাম,সব যেন ছবির মতো মনের দৃশ্যপটে জেগে উঠতে লাগল। আমাদের দলের দুজন গিয়েছে হোটেলটা খুঁজতে। আমরা দাঁড়িয়ে আছি রাস্তার উপর প্রায় নিঃশ্বাস বন্ধ করে,অজানা এক আশঙ্কা বুকে নিয়ে। হঠাৎ একটা ছোট্ট ট্রাকের মতো গাড়ি শ্লো হতে হতে থেমে গেল আমাদের সামনে। ড্রাইভার জানালা দিয়ে মুখ বের করে কিযেন বলল, শুনতে পেলাম না ভালো করে। আবার একটু জোরেই বললেন, ‘আপলোগ ইঁহা পর খাড়ে হ্যয়, কুছ প্রবলেম হুয়া কিয়া?’
হোটেলের নাম বলতেই সামনে হাত তুলে দেখিয়ে দিলেন কোনটা। চলে যেতেই একরাশ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে মনে মনে বললাম, ‘ ভালো ভাবলে,সবসময় ভালোটাই হয়’। ইম্ফলের নামে তো কত কথা শুনে ছিলাম,অথচ এই রাতে বিদেশ বিভূঁইয়ে সেই অজানা এক মানুষই তো সাহায্য করল। আটঘন্টার রাস্তা বারোঘন্টায় এসে শরীরের হাল সত্যিই আমাদের কাহিল তখন। সুন্দর সুসজ্জিত সাদা নরম বিছানা আর পরিষ্কার ঝকঝকে বাথরুম দেখেই যেন অনেক ক্লান্তি কেটে গেল। রাতের খাবার রুমে বসেই খেলাম। একটা সুন্দর ঝকঝকে দিন আর ইম্ফলের অদেখা সৌন্দর্যের কথা ভাবতে ভাবতে কখন যেন দু’চোখ জুড়ে নেমে আসে ঘুম। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ। বাইরের তীব্র কনকনে ঠান্ডাটা,ঘরের ভিতরে থেকেও টের পাচ্ছিলাম বেশ। ঘুম ভাঙল পর্দার ফাঁকগলে ঢুকে পড়া একফালি রোদের ছোঁয়ায়। কাচের জানালা ভেদ করে সূর্যের প্রথম কিরণ অতিথিদের পদচুম্বন করছে। জানালার ওপারে গোলাপ কাননে ফুটে আছে রঙিন গোলাপ। শিশিরের আলিঙ্গনে সিক্ত ফুলেরাও হাসছে রোদের ছোঁয়ায়। এক স্বর্গীয় প্রাকৃতিক শোভা পরিপূর্ণ বিস্তীর্ণ অঙ্গনে ফুলে ফুলে উড়ে বেড়াচ্ছে প্রজাপতি! সকালের চায়ের সঙ্গে ঘরেই পৌঁছে গেল খবরের কাগজ।

সময় নষ্ট করার মোটেই সময় নেই। অনেক কিছু দেখার বাকি। তাড়াতাড়ি স্নান সেরে নেমে এলাম নীচে। প্রাতঃরাশ এখানে কমপ্লিমেন্টরি। রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে দেখলাম, একটি নির্দিষ্ট জোনে বুফে সিস্টেমে খাবার রাখা আছে। যে যার নিজের ইচ্ছামতো খাবার নিয়ে গিয়ে বসছে টেবিলে। খাওয়া পর্ব সেরে বাইরে আসতেই দেখলাম, আমাদের জন্য একটি স্কর্পিও দাঁড়িয়ে আছে। হোটেল থেকেই গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সূচি অনুযায়ী মণিপুরে আমাদের একদিনই থাকার কথা। ঘড়িতে তখন সাড়ে ন’টা বাজে। গাড়ি হোটেলের কম্পাউন্ড ছেড়ে উঠে এলো রাস্তায়। ডানদিক ঘুরে এগিয়ে চলল। মিনিট পনেরোর মধ্যেই দেখতে পেলাম সামনে দন্ডায়মান “কাংলা ফোর্টের” বিশাল প্রবেশদ্বার। টিকিট কেটে ভিতরে প্রবেশ করেই ভাবছি,এই সুবিশাল এলাকা পায়ে হেঁটে দেখব কেমন করে? ঠিক তখনই জানতে পেলাম, ভিতরে ঘুরে দেখার জন্য সাইকেল ও গলফকার ভাড়া পাওয়া যায়। সাইকেল শুনেই মনের মধ্যে অদ্ভুত এক রোমাঞ্চ জেগে উঠল। প্রায় এগারো বছর আগে শেষবারের মতো সাইকেল চালিয়েছিলাম। আমার প্রিয় সেই দোসর গোলাপি লেডিবার্ডটার জন্য ভীষণ মনকেমন করে উঠল। চাইলেও আর ফেরা যায় না ফেলে আসা দিন গুলোতে,কিন্তু নতুন পথ তো হাঁটা যায়। আমরা দুটি পরিবার মিলে ছ’জন লোক। তিনটি সাইকেল ভাড়া নেওয়া হল। সারাজীবন এতো যে সাইকেল চালিয়েছি, জীবনে কখনও ডাবলক্যারি করিনি। পারব তো! মনে এক সংশয় নিয়েই ছেলেকে চাপিয়ে নিলাম নিজের সাইকেলের পিছনে। শুরু হল এক অনন্য সুন্দর যাত্রা। সুন্দর সাজানো কালো পিচের অজস্র রাস্তা। সাপের মতো আঁকাবাকা। এক নতুন অভিজ্ঞতা। কোন পথে এলাম,আর কোন পথে যাব, না-বুঝেই এলোমেলো পথ চলা। একটা ধ্বংসাবশেষ,কিন্তু সাজানো। এখন আর্কিওলজি ডিপার্টমেন্টের তত্ত্বাবধানেই রয়েছে।

কাংলা 33 AD পুরোনো স্থাপত্য, যা ইম্ফল নদীর পূর্ব পাড়ে স্থাপিত হয়। স্থাপন করেন “ পাখাংবা” পরবর্তী কালে ইম্ফল নদীর পশ্চিম পাড়েও এর বিস্তার ঘটে। কাংলা শব্দের অর্থ হল “Dry Land”. 1891 এটি মনিপুরের রাজধানী ছিল। কাংলা শুধু মনিপুরের রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপের স্থান ছিল তা নয়। economical Hub হিসাবেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পরবর্তী কালে বিভিন্ন রাজাদের সময়ে কাংলারও বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে।ক্রমশ এটি মনিপুরের multicultural Hub এ পরিণত হয়।
রাজা খাগেম্বা ছিলেন চিন বিজেতা। তিনি এই স্থাপত্যে চায়নিজ আর্কিটেক্টের প্রাভাব আনেন প্রথম। পরবর্তী কালে তাঁর পুত্র খুঞ্জাওবা এই স্থানের ডেকোরেশন করেন। পরবর্তী কালে মহারাজা ভাগ্যচন্দ্র এই বার্মিজ স্থাপত্য নিয়ে আসেন।

Anglo-manipur যুদ্ধের পর এটি ব্রিটিশদের শাসনে চলে যায়। এরপর আসাম রাইফেল ব্রিটিশদের হাত থেকে নিজেদের অধীনে করে নেই এর অধিকার। 2004 পর্যন্ত আসাম রাইফেলের অধিকারাধীন ছিল।
যাক অনেক হল ইতিহাসের গল্প। আর নয়, এবার ঘুরতে ঘুরতে পৌঁছালাম গোবিন্দ মন্দিরে। এর স্থাপত্য দেখার মতো। আছে একটা মিউজিয়াম। পুরো ফোর্টের ভিতর ঘুরে দেখতে একঘন্টারও বেশি সময় লাগবে।ওদিকে সারাদিন মনিপুরের অনেক কিছু আমাদের দেখার আছে। একটাই দিন আমরা মনিপুরের জন্যবরাদ্দ রেখেছি, এই ট্যুরে। কাজেই আর বিলম্ব নয়, কাংলা ফোর্ট ত্থেকে ভাড়াকরা সাইকেল গুলো জমা দিয়ে আবার উঠে বসলাম গাড়িতে। এবার সব থেকে দূরের দ্রষ্টব্যটা আগে দেখে ফেরার পথে একে একে সব দেখে নেব।
চলেছি “কেইবুল লামজাও জাতীয় উদ্যান” “keibul Lamjao National Park” দেখতে।

ক্রমশ…

 

লেখা পাঠাতে পারেন

আগের পর্বটি পড়তে ক্লিক করুন নিচের লিংকে

“গরীবের ঘোরা রোগ”-এ রুমকি রায় দত্ত-র মণিপুর ভ্রমণ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here