“হিমাচলী চাঁদের হ্রদে” ছবি ও কলমে-বর্ণালী রায়

3
200
বর্ণালী রায় তার সাথে পরিচয় করাতে গেলে যে কথা প্রথমেই জন্ম নেয় তা হল লেখিকার পায়ের তলায় সর্ষে।আজ পুরুলিয়ার এই মেলাতে তো কাল ইতিহাসের হাত ধরে পৌঁছে যায় মুর্শিদাবাদের প্রাচীন রাজারাজড়ার কোনও অলিন্দে।”গরীবের ঘোরা রোগ” বারবার তাঁর তথ্য তত্ত্ব ও ভিন্ন দর্শনের হাত ধরে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। তাঁর সম্প্রতি এই ছোট ছোট ভ্রমণের চোরাকুঠরির সমন্বয়ে বর্ণিক প্রকাশন থেকে সম্প্রতি “ভ্রমণ-যাপন১” শিরোনামে একটি বইও প্রকাশিত হয়েছে।পাঠকরা সংগ্রহে রাখতে পারেন।চেনা পৃথিবীর অচেনা দর্শন।বর্ণালী বাইফোকালিজমের একজন অন্যতম সদস্যাও।

হিমাচলী চাঁদের হ্রদে

ছবি ও কলমেঃ  ব র্ণা লী   রা য়

হিমাচল আমার কাছে এক রহস্যময় স্বর্গীয় স্থান। বিশেষত এর লাহুল স্পিতি উপত্যকার প্রতিটি বাঁকে বাঁকে লুকিয়ে আছে নানান গল্প আর অপার সৌন্দর্য। সেই সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা একেক সময় অসম্ভব হয়ে পড়ে। সেই স্পিতি উপত্যকার চেনাব নদীর গল্প শোনাবো।চন্দ্র আর ভাগা এই দুটো নদী মিলেমিশে কেমন চন্দ্রভাগা নদী হয়ে গেল, যেটা আমাদের আপন চেনাব নদী, তার গল্প– চন্দ্রতাল এর গল্প। চন্দ্রতাল কে ঘিরে গড়ে ওঠা নানান মিথ।যার সত্য বা মিথ্যা যাচাই করার প্রশ্নই ওঠে না, কারণ সে গল্প প্রেমের গল্প, সে গল্প এক আদি অকৃত্তিম স্বর্গীয় সুখের গল্প। রূপকথার রূপালী চাদর মোড়া একটা চাঁদ হ্রদের গল্প।

চন্দ্র নদী

চন্দ্রতাল হ্রদ, চন্দ্র নদীর উৎপত্তিস্থল এবং উৎস, যা চেনাব নদীর দুটি উপনদীগুলির একটি। বড়লাচা লা পাসের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে একটি হিমবাহ থেকে নদীটির উৎপত্তি। জলের এই ছোট ছোট ধারাগুলি কুনজুম পাসের দিক দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং কুঞ্জুম রেঞ্জের চূড়ার মধ্যে বিস্তৃত চওড়া সমভূমিতে চন্দ্রতাল গঠন করে। চন্দ্রা নদী বাতাল থেকে গ্রামফু এবং তারপর মানালি-লেহ মহাসড়কের দক্ষিণ-পূর্ব দিকের রাস্তা ধরে বিস্তৃত হয়ে প্রবাহিত হয়। তারপর এটি সম্পূর্ণরূপে বাঁক নেয় এবং টান্ডিতে ভাগা নদীর সাথে একীভূত হওয়ার পর একটি দক্ষিণ -পশ্চিম পথ নেয়। এর পাশেপাশে অসংখ্য হিমবাহ আছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাম দিকে শিংড়ি এবং ডানদিকে সমুন্দরী। হ্রদ থেকে নদীর বহিপ্রবাহ ভাগা নদীর সাথে সঙ্গম না হওয়া পর্যন্ত অসংখ্য জলের ধারা দ্বারা পরিপুষ্ট হয়।বাতালের পরেও, খোকসারের কাছে সোনাপানি হিমবাহ থেকে বেশ কয়েকটি স্রোত বয়ে গেছে; এবং সিসু গ্রামের কাছাকাছি সিসু হিমবাহ চন্দ্রতাল থেকে জলের প্রবাহে মিশে যাচ্ছে; এইভাবে এটি জলের প্রবল প্রবাহের সাথে বড় আকারের নদীতে পরিণত হচ্ছে।

ভাগা নদী

অন্যদিকে ভাগার উৎপত্তি হয় সুরজ তাল থেকে, বড়লাচা লা পাসের শীর্ষে অবস্থিত আরেকটি ছোট হ্রদ। সুরাজ তাল হল ভারতের তৃতীয় উচ্চতম হ্রদ এবং বিশ্বের ২১ তম উচ্চতম হ্রদ। সুরজ তাল থেকে জলের প্রবাহ ভাগা নদী গঠন করে।
এই দুটি নদী, চন্দ্র এবং ভাগা মিলে প্রধান চন্দ্রভাগা নদী গঠন করে যা চেনাব নদী নামেও পরিচিত।
এই চন্দ্রতাল শুধু দেখতেই অপূর্ব নয়,চারিদিকে ধূসর পাহাড়ঘেরা একটা অঞ্চলে নীল রঙের চাঁদের আকৃতির একটা জলাশয়। সত্যি বিস্ময় জাগে প্রকৃতির কি অপূর্ব সৃষ্টি। নৈসর্গিক শোভা যেমন পর্যটক আকর্ষণ করে তেমনি এই চন্দ্রতাল কে ঘিরে গড়ে ওঠা নানান গল্প তাদেরকে আকর্ষণ করে। মনে হয় চন্দ্র আর ভাগার প্রেমের কাহিনী, পরি আর রাখালের প্রেমের কাহিনী, পঞ্চপান্ডবের স্বর্গারোহণ এর গল্প সবই যেন সত্যি। আসলে চন্দ্র তালের নৈসর্গিক পরিবেশ এইসব গল্পকে আরো বেশি করে সত্যি করে তোলে।

দুই প্রেমিকের গল্পঃ

জনশ্রুতি আছে যে চন্দ্র ছিলেন চাঁদের প্রিয় কন্যা এবং ভাগা ছিলেন সূর্যদেবের একমাত্র পুত্র। দুজনের একবার বড়লাচা লা -তে একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল এবং প্রথম দর্শনেই একে অন্যের প্রেমে পড়েছিলেন। যদিও তাদের ভালবাসা তাদের বাবা -মা মেনে নেন নি। তাদের বিয়ে করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সূর্য দেবতা তার পুত্রকে পৃথিবীতে দিনের আলো আনার দায়িত্ব অর্পণ করতে চেয়েছিলেন। চাঁদ দেবতা তার মেয়ে চন্দ্রকে পৃথিবীতে রাত্রি আলোকিত করার দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন।
তাদের বাবা -মায়ের এই সিদ্ধান্ত দুই তরুণ প্রেমিক প্রেমিকার হৃদয় ভেঙে দিয়েছিল। কিন্তু তারা এত সহজে পরাজিত হন নি। তারা দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পালিয়ে যাবেন, বড়লাচা লা পাসে আবার দেখা হবে তাদের, যেখানে তাদের প্রথম দেখা , এবং তাদের পিতামাতার সম্মতি ছাড়াই তাদের বিবাহ সম্পাদন হবে।
তারা দুজনেই নেমে এলেন। কিন্তু চন্দ্র ভাগার চেয়ে একটু আগে পৌঁছে গেলেন। যখন সে বড়লাচা লা তে ভাগাকে খুঁজে পায়নি, সে তার খোঁজে কুনজুম পাসের দিকে ঘুরে বেড়ায় এবং তারপরে আবার বড়লাচা লা -এর দিকে ঘুরতে শুরু করে। ঠিক যখন সে টান্ডিতে পৌঁছল, সে দেখল ভাগা উল্টো দিক থেকে নেমে আসছে তাকে খুঁজছে। তখন তাদের মিলন হয়।

পরীর গল্প

দ্বিতীয় গল্পটিও হিমাচলের গ্রামে প্রচলিত একটি প্রেমের গল্প।
স্থানীয়রা বিশ্বাস করে যে চন্দ্রতল হ্রদ আশীর্বাদপ্রাপ্ত, এবং রাতে পরীরা ঘুরে বেড়ায় এই হ্রদের চারপাশে। এমনই একটি গল্প হানসা নামে একটি স্থানীয় গ্রামের এক রাখালের, যিনি তার গবাদি পশু চরানোর জন্য লেকে আসতেন।এমনই একদিন তিনি একটি পরীকে দেখেন এবং তারা দুজনেই পরস্পরের প্রেমে পড়ে যান। জনশ্রুতি আছে যে রাখাল ইতিমধ্যেই বিবাহিত ছিল কিন্তু তিনি পরীর কাছে তা প্রকাশ করেননি, এই আশঙ্কায় যে সে জানতে পারলে তাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে।বছরের পর বছর ধরে তাদের ভালোবাসা বেড়ে ওঠে । তারা দুজনেই হ্রদে দেখা করে এবং একসাথে সময় কাটায়। একদিন রাখাল পরীর কাছে প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি বিবাহিত। আর এটাই তাদের শেষবারের মতো দেখা। পরী কখনো ফিরে আসেনি এবং রাখাল তার জন্য অপেক্ষা করতে করতে পাগল হয়ে গেছিল এবং শেষ পর্যন্ত লেকের ধারে মারা যায়। কথিত আছে আজও নাকি রাতে লেকের চারপাশে রাখালের আত্মাকে পাড়ে হাঁটতে, ডাকতে এবং তার দীর্ঘ হারিয়ে যাওয়া ভালবাসার জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।

পঞ্চপান্ডবের গল্প

পঞ্চপাণ্ডবদের স্বর্গ যাত্রার সাথে সম্পর্কিত। কুরুক্ষেত্রে মহাভারতের যুদ্ধে কৌরবদের পরাজিত করার পর,বেশ কিছু দিনের রাজত্ব শেষ করে পাণ্ডবরা স্বর্গের দিকে হাঁটতে শুরু করলেন। তারা সবাই একে একে পথে মারা গেলেন। কেবল যুধিষ্ঠির বেঁচে ছিলেন এবং এই চন্দ্রতাল যেখানে আছে সেখানেই দেব রাজ ইন্দ্র তাঁকে তুলে নিয়েছিলেন স্বর্গে।
যদিও এই একই ধরনের গল্প উত্তরাখণ্ডের স্বর্গারোহিনীকেও ঘিরেও প্রচলিত। যেখানে যুধিষ্ঠির শেষ পর্যন্ত তার পোষা কুকুর নিয়ে স্বর্গের দ্বারে পৌঁছেছিলেন।আসলে প্রচলিত এই গল্পগুলো স্থানীয় লোকবিশ্বাস বা জনশ্রুতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। আমরা শুধু স্থানীয় অধিবাসীদের কাছ থেকে শুনে নি। তৈরি হয় একটা ভালোলাগা। এটার সত্য বা মিথ্যা যাচাই করার ইচ্ছে তৈরি হয়না জায়গাটার সৌন্দর্য দেখার পরে ।
১৪ হাজার ফুট উঁচুতে হিমালয়ের কোলে চন্দ্রতালে পৌঁছাতে হয় কুনজুম পাস পেরিয়ে। কুনজুম পাসের ১৮ কিলোমিটার আগে লোসার গ্রামে হবে আমাদের রাত্রিবাস, তারপর ভাগ্য সহায় থাকলে কুনজুম পাস পেরিয়ে চন্দ্রতাল, সেখান থেকে সেদিনই মানালি। লোসার থেকে চন্দ্রতালের দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলোমিটার।
চন্দ্রতাল যাওয়া যায় দু’দিক থেকে। মানালি থেকে বাতাল হয়ে গাড়ি চলার পথ গিয়েছে, এ পথের দূরত্ব ১৪০ কিলোমিটার। তবে আগেই বলে রাখি গাড়ি চলার পথ যে কি তা আক্ষরিক অর্থে হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায় এই পথে।এই পথে কুনজুম পাস পেরোতে হয় না। আরেক পথ কিন্নর হয়ে স্পিতির নাকো, টাবো, কাজা হয়ে লোসার। সেখান থেকে কুনজুম পাস পেরিয়ে চন্দ্রতাল। কাজা থেকে লোসারের দূরত্ব ৫৬ কিলোমিটার। সারা পথেই সঙ্গী স্পিতি নদী, আর একদিকে হিমালয়ের রুক্ষ পাথরে অপূর্ব কারুকার্য – মনে হয় কোন শিল্পীর নিপুণ তুলির ছোঁয়ায় যেন আঁকা। কাজা থেকে পথ যত এগোচ্ছে, ততই সে হয়েছে রুক্ষ, পাথুরে। মাঝেমধ্যে মনে হতেই পারে আপনি সভ্যতার আদিম লগ্নে পৌঁছে গেছেন।স্পিতির শেষপ্রান্তে ভারত-চীন সীমান্তের শেষ গ্রাম লোসার – স্পিতির শীতলতম গ্রাম। লোসারের উচ্চতা ১৩,৪০০ ফুট। শীতল মরুভূমির রুক্ষ রূপের পর চোখ জুড়িয়ে যায় লোসারে এসে – সবুজ ঘাস, ফসলের ক্ষেত, পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে স্পিতি নদী। ছোট্ট গ্রাম লোসার – দূরে দূরে হাতে গোনা কয়েকটা বাড়ি, সব বাড়ি স্পিতির বিশেষ ধাঁচে মাটির তৈরি, সাদা রং, উপরে উড়ছে বৌদ্ধধর্মের পতাকা। আবহাওয়ার প্রতিকূলতার জন্যই বোধহয় জনবসতি একেবারেই কম, মাত্র ১৪২ জন লোকের বাস এখানে। চাষ আর চমরী গাই – এই দুই এদের জীবিকা। গরুর মত ঘুরে বেড়াচ্ছে চমরীগাইর দল।
পরদিন ভোরে যাত্রা শুরু হল কুনজুম পাস পেরিয়ে চন্দ্রতালের উদ্দেশে। কুনজুম পাস শুনেছি বিপদজনকতার দিক দিয়ে বেশ এগিয়ে– তার মতিগতি আগের থেকে কিছুই বোঝা যায় না। ১৫০০০ ফুট উঁচু কুনজুম পাস থেকে দেখা যায় বড়াসিগ্রি – পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম হিমবাহ। চারধারে তুষারশুভ্র পাহাড়ের চূড়া, উপর থেকে দেখা যাচ্ছে স্পিতি উপত্যকা – এ দৃশ্য বর্ণনা করার ভাষা আমার নেই। পাসের উপর কুনজুম মাতার মন্দির। কনকনে তীব্র ঠাণ্ডা হাওয়ার বেশীক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায় না, উঠে পড়লাম গাড়িতে, আজ আমাদের অনেক লম্বা যাত্রা। কুনজুম পাস স্পিতি ও লাহুলকে ভাগ করেছে, পথ গিয়েছে বাতাল, গ্রামফু হয়ে মানালির দিকে, গ্রামফু থেকে আরেক দিকে পথ গিয়েছে লাদাকের দিকে। আমরা বাতাল পৌঁছানোর আগেই এক রাস্তা ধরলাম, দু কিলোমিটার গিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ল। এখান থেকে এক কিলোমিটার হেঁটে পৌঁছাতে হবে তালে, তালের পরিবেশ রক্ষার জন্য এর পর আর কোন যানবাহন যায় না। এখনো আছে কিছু তাঁবু, তবে সবাই গোটানোর আয়োজন করছে। কিছুটা এগিয়েই চোখে পড়ল নীল জল – হ্রদের আকৃতির জন্য এর নাম হয়েছে চন্দ্রতাল – চাঁদহ্রদ,। চন্দ্রতল বা চন্দ্র তাল বা কেবল মুন হ্রদ উত্তর ভারতে হিমাচল প্রদেশে 14100 ফুট উচ্চতায় অবস্থিত একটি অনুর্বর কিন্তু সুন্দর হ্রদ। এটি হিমাচল প্রদেশের স্পিতি এবং লাহৌল জেলার অধীনে এবং কুমজুম পাস থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।অর্ধচন্দ্রাকৃতির কারণে হ্রদটির নামকরণ হয়েছে। নীল জলে পড়েছে সাদা পাহাড়ের ছায়া। পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলাম হ্রদের পাশের পথ দিয়ে আর কল্পনায় ভিড় করে এল সেই সব দিনের কথা, যখন চীন থেকে রেশম পথ দিয়ে ব্যবসায়ীরা এসে বিশ্রাম নিত এখানে। হিমালয়কে যত দেখি তত অবাক হই। এর অপার সৌন্দর্যেরও শেষ নেই,শেষ নেই এর রহস্য-রোমাঞ্চের।বিশ্বাস করা হয়, চন্দ্রতলটি ব্যবসায়ীরা আবিষ্কার করেছিলেন – যারা তিব্বত বা লাদাখ থেকে এই অঞ্চলে এসেছিলেন। একটি কঠিন ভ্রমণের পরে, ব্যবসায়ীরা কুলু বা স্পিতিতে যাত্রা শুরু করার আগে লেকের কাছে বিশ্রাম নিতেন। মিষ্টি জলের হ্রদটি প্রায় 2.5 কিলোমিটার প্রশস্ত। গ্রীষ্মের তিন মাসে শুধুমাত্র লেকটি পরিদর্শন করা যায়। বাকি মরসুমে, হ্রদটি কেটে এবং হিমায়িত থাকে। লেকটি সাধারণত নীল হয় কিন্তু আকাশের রঙের সাথে রঙ পরিবর্তন করে। চন্দ্র ভাগা পর্বতশ্রেণী (CB গ্রুপ) হ্রদের জন্য নিখুঁত পটভূমি গঠন করে। যদিও জায়গাটি অনুর্বর এবং কোন মানব বসতি থেকে বিচ্ছিন্ন, গ্রীষ্মকালে এটি একটি বিখ্যাত ক্যাম্পিং সাইট। ভ্রমণকারীরা প্রায়ই হ্রদের নীল রঙের দ্বারা বিস্মিত হয়, চন্দ্র ভাগা পর্বতশ্রেণীর প্রাচীন সাদা রঙের সাথে সবুজ ঘাসের বিস্তৃত গালিচায় বেষ্টিত।
থাকার বিকল্পও চন্দ্রতালে সীমিত। PWD গেস্টহাউস এবং কক্ষগুলি কুঞ্জুম পাস এবং বাতালে গ্রামবাসীদের ভাড়ায় ছেড়ে দেওয়া হল থাকার প্রধান বিকল্প। গ্রীষ্মে, বেশিরভাগ পর্যটক চন্দ্রতলে ক্যাম্পে থাকতে পছন্দ করেন। চন্দ্রতলে খাওয়ার বিকল্প সীমিত। বাটাল এবং কুনজুম পাসে কিছু ধাবা রয়েছে যা খাবার সরবরাহ করে। চন্দ্রাতালের ভোজনশালায় মূলত তিব্বতী এবং সীমিত ভারতীয় খাবার পাওয়া যায়।

বর্ণালীর অন্যান্য লেখাগুলি পড়তে নিচের লিংকগুলোতে ক্লিক করুনঃ

অনন্য গ্রাম ও তার ভিন্ন স্বাদের গপ্প–কলমেঃ ব র্ণা লী রা য়

দ শা ব তা র তা স

লেখা পাঠাতে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here