চন্দ্রকোনার ইতিহাস(পর্ব-১১)

1
28

চন্দ্রকোনা হারিয়ে যাওয়া ছোট ছোট ইতিহাস নিয়ে লিখছেনঃদুর্গাশঙ্কর দীর্ঘাঙ্গী

             মেদিনীপুরের ভুলে যাওয়া ইতিকথা

                                  পর্ব-১০

                                                                                                 ছবি গৌতম মাহাতো

পালযুগের পূর্বে বাঙালী সমাজ ও সংস্কৃতি: 

ঐতিহাসিকগণ মােটামুটি যে ধারণা আমাদের দিয়েছেন তা হল বৌধায়ন ধর্মসূত্র অনুসারে বাংলাদেশে আর্যদের যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। সে যুগে বাংলার অধিবাসীদের অসুর বা দস্যু ইত্যাদি নিন্দনীয় নামের উল্লেখ আছে।(শতপথ ব্রাহ্মণ /ঐতরেয় ব্রাহ্মণ) কিন্তু বৈদিক যুগের শেষভাগে বাংলাদেশের অধিবাসীদের সংগে আর্য সংমিশ্রণের ফলে এই জাতির মধ্যে আর্য -দের সমাজ-ব্যবস্থা ও ভাষা গহীত হয়। আর্য সমাজে জাতিভেদ ছিল।বাংলার সুম্ভ, বঙ্গ, পুলিন্দ, পুন্ড্র ও কিরাত প্রভৃতি আদিম অধিবাসীদের ক্ষত্রিয় বলা হত। এছাড়া বিভিন্ন সংকর জাতির উদ্ভব হয়েছিল। আর্যগণের বাংলায় আগমনের সময় থেকে প্রথমে সংস্কৃত, পরে পালি, তারপরে প্রাকৃত ভাষার সৃষ্টি হয়। সবশেষে অপভ্রংশ ভাষার সৃষ্টি হয়। মহাস্থানগড়ে সর্বপ্রাচীন প্রস্তর লিপি পাকৃত ভাষায় লিখিত হয়েছিল। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতকে রাজা চন্দ্রবর্মার সুসুনিয়া পর্বতের গায়ে খােদিত লিপি ছিল সংস্কৃত ভাষাতে। গুপ্তযুগে বাংলায় তাম্রশাসনগুলি সংস্কৃত ভাষায় ছিল। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে সংস্কৃত ও সাহিত্য চর্চা হয়েছিল। একে গৌড়ীয় রীতি বলা হত যা সে যুগে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল। পঞ্চম বা ষষ্ঠ শতকে চান্দ্রগােমিন নামে এক বাঙালী পন্ডিত চান্দ্র ব্যাকরণ প্রণীত করেছিলেন। গৌড়পাদ ছিলেন খ্যাতনামা বাঙ্গালী দার্শনিক। প্রবাদ আছে। তিনি শংকরাচার্যের গুরুর গুরু ছিলেন। আর্যদের আগমনের আগে বাংলার ধর্ম কর্মাদি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা করা যায় না।আদিম অধিবাসীদের ক্ষত্রিয় বলা হত। এছাড়া বিভিন্ন সংকর জাতির উদ্ভব হয়েছিল। আর্যগণের বাংলায় আগমনের সময় থেকে প্রথমে সংস্কৃত, পরে পালি, তারপরে প্রাকৃত ভাষার সৃষ্টি হয়। সবশেষে অপভ্রংশ ভাষার সৃষ্টি হয়। মহাস্থানগড়ে সর্বপ্রাচীন প্রস্তর লিপি প্রাকৃত ভাষায় লিখিত হয়েছিল। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতকে রাজা চন্দ্রবর্মার সুসুনিয়া পর্বতের গায়ে খােদিত লিপি ছিল সংস্কৃত ভাষাতে। গুপ্তযুগে বাংলায় তাম্রশাসনগুলি সংস্কৃত ভাষায় ছিল। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে সংস্কৃত ও সাহিত্য চর্চা হয়েছিল। একে গৌড়ীয় রীতি বলা হত যা সে যুগে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছিল। তবে ধর্ম জীবন , আচার অনুষ্ঠান বাংলার আদিম অধিবাসীদের নিকট হইতে পাওয়া। পন্ডিতদের ধারনা গ্রামাঞ্চলের স্ত্রীজাতীর মধ্যে বৃক্ষের পূজা, পালা পার্বনে আম্রপল্লব, ধান, দুর্বা কলা, পান, সুপারি নারিকেল, ঘট, সিঁদুর ব্যবহার, আদিবাসীদের দান। আবার মনসা, ষষ্ঠী পূজা প্রভৃতি আদিবাসীদের ধর্মের পরিচায়ক।

                                                           ক্রমশ….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here