অ লো ক   পু ষ্প পু ত্র-র  চারপদের কবিতা

0
89
পরিচিতিঃ অলোক পুষ্পপুত্র (জন্ম ১৩ অক্টোবর ১৯৭২) আদতে গদ্যকার। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ “একটি রূপকথার জন্ম” তাঁকে ব্যতিক্রমী গদ্যশিল্পী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। কাব্যে অলোক সনাতনী ধারার বাহক। তাঁর চতুষ্পদী কাব্যগ্রন্থ “চার(যা)পদ”-এর সাফল্যের পর তিনি মেতেছেন চতুর্দশপদী নিয়ে। নিপুণ দক্ষতায় পুরাতনী পয়ারের কাঠামোয় গড়ে চলেছেন আধুনিক কবিতা। আমরা পেশ করছি অলোকের কয়েকটি চতুষ্পদী। আজ সেই চার(য)পদ-র কিছু কবিতা নিয়ে সেজে উঠল বাইফোকালিজম্-র পাতা। বাকিটুকু পাঠকের জিম্মায়

 

অ লো ক   পু ষ্প পু ত্র-র  চারপদের কবিতা

কাঠুরিয়া

নিঝুম বনে বরফ চাদর সন্ধে হব হব
শীত নামছে মেরুপ্রদেশ এবার পাড়ি দেব…
ও দরদী নকশিকাঁথায় ফোটাও বনফুল,
উড়িয়ে ধ্বজা জাহাজঘাটায় দাঁড়িয়ে মাস্তুল

 

ছেলেখেলা

বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর অশ্বহ্রদে গান
নামবে বৃষ্টি মুষলধারা, কন্যা সাবধান!
ধরুক ছাতা প্রেমিক মাথা, ভালোবাসুক পরে
অগ্রে আগুন… বৃষ্টি জমুক ছাতার পুরুষকারে!

 

বিমান সেবিকা

আকাশে উড়ছে ঘুড়ি, শেষ হল বিশ্বকর্মা পুজো
ভোঁকাট্টা উড়ে গেলে মুঠোফোনে নব তারা খুঁজো
চিনা মাঞ্জা গলা কাটে উড়ালপুলে– জ্বলে বাতি…
লাটাই আঁকড়ে ধরো ওগো নীল, প্রিয় প্রজাপতি

 

আলেয়া
একাকী এগিয়ে যায় আলো
অন্ধকার লুকিয়ে রাখে পিঁড়ি
দিগন্তে খুঁজে পেয়ে মাটি
উঠে যায় স্বর্গের সিঁড়ি

 

বার্তা
বুকের মধ্যে তুফান ওঠে মনের মধ্যে ভয়
অ্যাড্রিনালিন বৃথাই মেয়ে করছ অপচয়
বলেই ফেলো এস.এম.এস-এ কিম্বা হোয়াটস্যাপে
হাসনুহানা হলেই তুমি শঙ্খ লাগে সাপে

 

রূপান্তর

যমুনাবতী নাও যুবতী, যাত্রী পরাশর
কহেন, মদন বাণ মেরেছে, নামাও ত্বরা জ্বর!
সত্যবতী জানান জাতি, আঁশটে গন্ধ গায়
জাত তো নারী! ফুলকুমারী, মৎস্য মারে ঘাই!

 

 আত্মসম্মান

জলমধ্যে মৎস্যচক্ষু বৃক্ষশাখে পাখি
অস্ত্রশিক্ষা শেষের তাড়ায় গুরুবাক্য ফাঁকি
খুলতে যাব তরবারি আটকে দিল খাপ…
বিধির পরে নিধি হবার ফেরাচ্ছি প্রস্তাব

লেখা পাঠাতে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here