পা প ড়ি গ ঙ্গো পা ধ্যা য়-র কবিতাগুচ্ছ

0
113
    পরিচিতিঃ দক্ষিণ কলকাতার মধ্যবিত্ত পাড়ায় একান্নবর্তী পরিবারে জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা। বিজ্ঞানের ছাত্রী হলেও সাহিত্যে আগ্রহ অতি অল্প বয়স থেকে।দায়িত্বপূর্ণ পদে চাকরি। নয়ের দশকের দ্বিতীয়ার্ধ থেকে কবিতাকে পাকাপাকি ভাবে আপন করে নেওয়া। তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ “এক-দুপুর ভ্রমণ ” এর জন্য কৃত্তিবাস পুরস্কার প্রাপ্তি। কবিতার পাশাপাশি গল্প ও মুক্ত গদ্যও প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত পত্র পত্রিকায়। এই বছর প্রকাশিত হয়েছে প্রথম গল্প সংকলন। আজ বাইফোকালিজম্ সেজে উঠল তাঁরই কবিতাগুচ্ছে। 

 

পা প ড়ি গ ঙ্গো পা ধ্যা য়-র কবিতাগুচ্ছ

 

চোখ

প্রেম,
চোখে চোখে সেতু বেঁধে
এক অনন্ত যাত্রা।
যেন পূর্ব জন্মেও চোখ
আটকে গেছিল সেই চোখে,
যেন পরজন্মেও চোখ লেগে যাবে সেই চোখে।

ছোটবেলায়  ক্যালেন্ডারে দেখা
রাধাকৃষ্ণের ফটোয়
কৃষ্ণের বাম দিকে হেলানো
ঈষৎ নীচু মুখে বাঁশি,
চোখ চেয়ে আছে রাধার চোখে।
রাধার এক হাত তাঁর কাঁধে,
এক হাত তাঁর হাতে,
ঈষৎ উর্ধ্বমুখে চোখ তাঁর চোখে।
সেই ছবি  চিরস্থায়ী হয়ে
মগজে গেঁথে।

ঠিক ফিল্মি স্টাইলে
মেট্রো সিঁড়িতে ধাক্কা।
একজন ছিটকে পড়া চশমা
আরেকজন ছাতা
কুড়িয়ে নিতে নিতে
প্রবল ক্রোধে চোখে চোখ।
মাইনাস পাওয়ারের
চশমাবিহীন চোখ
তেমন ভাবে ঠাহর করতে পারে না
উল্টোদিকের অবয়ব,
শুধু চোখ লেগে যায় চোখে।

চোখে চোখ রেখে রেখেই
একসঙ্গে নাচের ঘূর্ণি মিলল এসে ছাদনাতলার শুভদৃষ্টিতে।

চোখে চোখ পুরোন হয়
কিন্তু, চোখ থেকে  সরে না চোখ।
তখন শুরু চোখে চোখ রেখে
পরস্পরকে বাচিক আক্রমণ,
যে ঝগড়াটা মেট্রো স্টেশনে
শুরু হবার আগেই
শেষ হয়েছিল
কাম-রতির পুষ্পবৃষ্টিতে।

এরপর
চোখে চোখ রেখে আদালতে
পরস্পরের বিরুদ্ধে প্রমাণ দাখিল।
আদালত থেকে বেরিয়ে
দুজন চলে দুদিকে,
কিন্তু চোখ সরে না।

দুজন দুজনকে চোখে চোখ রেখে
মাপতে থাকে ফেসবুকে।

তারা কেউ কাউকে
আনফ্রেন্ড করে না।
চোখে চোখ রেখে
সারা রাত পাহারা দেয়
একে অপরকে।

লেখা পাঠাতে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here