নি মা ই   জা না র কবিতাগুচ্ছ

0
113
পরিচিতিঃ নিমাই জানা বাবা সুধীর জানা মা দুর্গা রানী জানা ঠিকানা রুইনান , সবং , পশ্চিম মেদিনীপুর জন্মতারিখ কোন এক শিব চতুর্দশীর দিন , কবিতার অক্ষর আর কিছু দ্রাঘিমাহীন নদীর সাথে যাপন ক্রিয়াটি খুব ভালো লাগে । জানিনা কবিতার ভিতর ঈশ্বর প্রতিদিন নৈঋত কথা রেখে যায় কিনা । খুব ভালো লাগে মৃত্যুরও চতুর্থ ডাইমেনশন খুঁজে বের করতে। ঈশ্বরীর সাথে ইছামতি নদী ভ্রমণে গেলে অলৌকিক হয়ে পড়ি আমিও । তারপর হয়তো জ্ঞান থাকেনা । আমি কিছু মৃত শুক্রাণু নিয়ে বেরিয়ে পড়ি ভূমধ্য পাহাড়ের দিকে । আজ কিছু কৃষ্ণ মানুষের কথা হোক । প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ছায়ার মূলরোম , নির্জন পুরুষ অসুখ , জিরো কম্পাঙ্কের পেন্ডুলাম , ঈশ্বর ও ফারেনহাইট জ্বরের ঘোড়া । বাইফোকালিজম্-র পাতার আজ তাঁরই গুচ্ছকবিতা।

নি মা ই   জা না র পাঁচটি কবিতা

 

 ৩৬০° ডিগ্রীর হরিণী ও কিছু নপুংসক সমানুপাত

গামা বেঞ্জিনের মতো যারা শীতকাল পছন্দ করেনা তাদের ফিজিওলজিক্যাল শরীরের ওপর একটা পাইচিত্র টাঙানো থাকে ৩৬০° রঙের হরিণীর মতো

প্রতিটি রাতের বিছানাকে মৃত বলে মনে করতে নেই , নরম ইলেকট্রোলাইটিক জলাশয়ের পাশে সকলেই আগুনের মশাল নিয়ে নেমে যায় মোমবাতির দহন কক্ষের দিকে
আসলে হিমোগ্লোবিন বিহীন জিভ ও একটি রাসায়নিক ধর্ম ক্ষেত্রের নপুংসক স্থান পরস্পর সমানুপাতে থাকে সর্বদা,  তাদের ঘর্মগ্রন্থিগুলো সজাগ হয়ে নেমে যায় নৌকার নাভিলম্ব বরাবর , এখানে সবাই উপবৃত্তাকার একটি জ্যামিতিক শিরদাঁড়ার নিচে চাষাবাদ করেছে ক্লোরোফিল বিহীন ফ্যালোপিয়ান মাঠে

এক মৎস্যজীবী খোলা পালক নিয়ে পোশাকটি আরো রক্তাক্ত করে ফেলবে প্রতিটি সঙ্গমের পর, মুখের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে একেকটি সংক্রমিত অন্ডকোষের মাঝে থাকা এক সেন্টিমিটার দূরত্বের অপরাধবোধ
প্রতিটি শহরের একেকটা নিষিদ্ধ ঔষধের দোকান থাকে , যারা গভীর রাতের পরে আত্মগোপন কক্ষ থেকে শূন্যের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় সেট্রিজিন খাওয়ার জন্য
তাদের হাতটি ফাঁকাই দেখা যায় ঝড়-বৃষ্টির পরেও

কিছু ভাঙা কাঁচ আগুনের কথা স্বীকার করার পর সবাই ধৃতরাষ্ট্র হয়ে যায় , একদিন অহল্যার মতো আমাদেরও হয়তো পাষাণ হয়ে যেতে হবে পদ্মাসনে বসে

 

কনফুসিয়াস ও রাতের হাইড্রোকার্বন এলামুন্ডা

ঠিক ভোর হয়ে যাওয়ার আগে যাদের চোখে উত্তল লেন্স দেখা যায় তারা আতস কাচের নিচে নিষ্ক্রিয় শুক্রানুদের দায়ী করে অবৈধ গর্ভসঞ্চারের জন্য ,

রাতের ছাতিম ফুলের গন্ধে মাতাল মাতাল মনে হলেই হাইড্রোকার্বন মিশ্রিত অ্যালামুন্ডা ফুল থেকে গন্ধ শুঁকে নিয়ে ঠিক ভোর বেলায় আমার বৈধ ঈশ্বরীর কাছে নতজানু হবো গোলাপি ফায়ার বল পনসিটিয়া গাছের নিচে ,
কেউ নদীর মতো পরকীয়া কথা প্রতিদিন লুকিয়ে রেখে নিজে নিজেই পিচ্ছিল হয়ে যায় কৃষ্ণগহ্বরের ঠিক মুখের কাছে বসে
কয়েকবার কনফুসিয়াস ও আমাদের বিছানার চারপাশে
ঘুরবেন হয়তো একটি ভৌগলিক বিন্দু খোঁজার জন্য , ভূগোলের প্রতিদিন মৃত্যু হয় বলেই এতো ইতিহাসের জন্ম,

রাতের সব পরিচয় কথা নক্ষত্র আয়ুর মতো , লিকুইড যৌন শহর থেকে দুরে একটি বেলগাছের প্রণয় বৃত্তান্ত নিয়ে আসি ভূগর্ভস্থ পরীদের কাছে ,
আমি ঈশ্বরের সাথে কতদিন পাশা খেলায় বসিনি , কিছু ধনুর্ধর রতিচক্রের ভেক্টর রাশিগুলোকে জড়ো করেছি বিধিবদ্ধ মহাভারতের  কন্দর্প অথবা সৌরভ মুনি সেজে
অমরাবতীর জলাধার থেকে নিয়ে আসি √ ১১নামক এক লিঙ্গহীন কাল্পনিক ছায়ার সাইট্রেট শিমুল গাছ ,
শরীর জুড়ে ফারেনহাইট জ্বরের তাপমাত্রা অনন্ত সহবাস সম্মতিপত্র দেয়নি পাললিক রাতের সর্পগন্ধাকে ,

নীল ঘরের সন্ন্যাস অশ্লীল চন্দ্রগ্রহণের আশায় বসে আছে

বাবা গাছ ও কিছু স্তনগ্রন্থির সেন্ট্রোমিয়ার

আমি কিলবিল করে উঠি বিষধর সাপের মতো , স্বপ্নের ঘোরে দেখেছি প্রতিটি জ্বরের পা ও  মুখগুলো দীর্ঘকায় সেন্ট্রোমিয়ার হয়ে স্তনগ্রন্থির তরুক্ষীর খাওয়ার পর মুখে মুখে কচুরিপানার পেন্ডুলাম ঝুলছে

বাবা গাছের নিচে সবাই সামন্তরিক আকাশ তৈরি করবে বলে রাতের মৃত ঘোড়াদের ফেলে যাওয়া লোমশ দিয়ে চাদর বানায়
গোমুখ থেকে আয়নিক কাঁকড়াবিছের দল পর্ণমোচী ভক্ষণকারী হয়ে ধীরে ধীরে ঘণ্টা বাজাতে বাজাতে নেমে আসছে সমতলভূমির দিকে , অ্যালকোহলিক ছায়া শুধু দুপুরবেলায় ক্ষুধাতুর হয়ে ওঠে,  আমার সহজ সরল নীল বীজপত্র শরীরের ভেতর অসংখ্য একাকী রবাব বাজাচ্ছে

অজস্র ভগীরথের সামেশান আমি , অংশুমানের মতোই পূর্বপুরুষদের জড়ো হওয়া জীবাশ্মের উপর একগুচ্ছ মৃত নগরী গড়ে দিতে পারি ষোড়শ মহাজনপদের বৃত্তাকার স্নানরতা ডানাগুলো দিয়ে , প্রতিটি পোশাকের তলায় একশৃঙ্গ লোনাসাগর ঘুমিয়ে থাকে , তাদের চোখের জল অথচ বিস্বাদ
যাদের কোন লিঙ্গ চিহ্ন নেই অথচ রাতের অন্তর্বাসগুলো ফিকে হতে হতে বিন্দুময় অঙ্গুরীমাল পিচ্ছিল স্পর্শেন্দ্রিয় নিয়ে অপ্রবেশ্য স্তর থেকে কিছু কাগজ ফুল নিয়ে আসবে ,
একটি বিশুদ্ধ পর্যায় সারণির অধাতব মোমের তরোয়াল কাঁঠালিচাঁপা ধূপের ভিতর কতক গুলো অসদৃশ মানুষের শুক্রাশয় পুড়ে যাওয়ার গন্ধ লুকিয়ে রাখি

জানালার বাইরে পরিত্যক্ত নদী থেকে নীলকান্ত মহাকাল খুঁড়ে বের করি শুভদীপের জন্য , বাঁশির ভেতরেও √ -১ সেমি দৈর্ঘ্যের একটি লাইসোজোম বিন্দু আছে

 

সৌমেনদা ও সিডেটিভ ঘুমের নৌকা

শতভিষা আজ ও পুলস্ত রাতের অন্তঃস্থ জরায়ু ক্ষেত্রফলের ভিতর অপ্রাকৃত ভগ্নাংশের ডান স্তন ধরে ঝুলে আছে লিগনাইট মুখে নিয়ে ,

সৌমেনদা প্রতিদিন সিডেটিভ ঘুমের ভেতর নৌকা চালিয়ে শ্মশানের অজস্র জীবাশ্ম পোড়া নাভি মুখে পুরে নেয়
আমাদের তখন বাম পায়ের তলায় বৃত্তাকার অসহিষ্ণু গৃহস্থালির অসুখ গুলো ক্রমশ নিরাময়হীন প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে পড়ে
নিরাময় সদনের নিচে তখন দাঁড়িয়ে দেখি দাদার বাম হাতে ঝুলে থাকা নর্মাল সালাইনটি কখন ধীরে ধীরে সরলবর্গীয় হয়ে মাথা কাটা দেবদারুর নিচে ঝুলে আছে

শরীরের ভেতর কমে যাওয়া সোডিয়াম ধাতু নির্বাক সন্ন্যাস করে দেয় , আমরা তখন কাল্পনিক সপ্তর্ষিমণ্ডল হয়ে যাই
মানুষের দুঃখ মাপার কোন একক নেই বলে ডান হাতের অনামিকায় সব লালাভ সাপ জমিয়ে পাথর করে গেছে আমাদের বাড়ির চারপাশ
একটা নুয়ে পড়া মানুষ একগুচ্ছ শীতল ছত্রাক মুখে পুরে উদ্ধবপুর পেরিয়ে যান , চৈতন্য হতে সময় লাগে মাত্র তিন দিন

সেফাড্রক্সিল একটি ব্রততীর ডগায় বসে আগুন গলাধঃকরণ করছে , আমার মা মৃত মানুষদের সন্ধানে গেছেন মাটির ফাটলের এক-তৃতীয়াংশ অন্তরীক্ষে

 

ঋণাত্মক ঘুম ও কিছু মুসান্ডা চারাগাছ

ঋণাত্মক গতিশক্তি হারিয়ে আমি ত্বরণ শূন্য হয়ে যাওয়ার পর সঙ্গম পরবর্তী নৌকায় দীর্ঘতম রাতের কষ্ট অসুখকে সামুদ্রিক ঈশ্বরের কাছে রেখে আসি

কৃষ্ণ প্রতিদিন ধনুক নিয়ে যুদ্ধে বেরিয়ে পড়েন,  আমার আজকে গা গুলিয়ে উঠছে মানুষের বর্জ্য পদার্থ মাথায় নিয়ে হাঁটার পর
দেয়ালের ভেতর থেকে কেউ ডেকে বলছে  উঠে দেখ , নিমাই তোর সদোর দরজার সব স্বরবর্ণ গুলোকে হত্যার জন্য কেউ মুসান্ডা চারা লাগিয়ে দিচ্ছে ,
এক পশলা বৃষ্টি হওয়ার দিন তলপেটে কিছু ভুল লিখে রাখি আমার জড় ঠাকুরের ঘর থেকে ভেসে আসে আরও অজস্র মানুষের কণ্ঠস্বর

নীল আলোর নিচে পদ্মাসনে বসে বসে অ্যামালগাম ওষুধ গিলে খাচ্ছে রাতের পরিযায়ী পাখিরা , নিম্ন উপত্যকা অঞ্চল থেকে অশ্বগন্ধার অশোক সরাইখানার নিচে অসংখ্য কৃমি ক্রীড়ার পুরোহিত হয়ে পূজো মন্ত্র লিখে দিচ্ছে কংক্রিট দেয়ালে
কাঁচের ওপাশে থাকা স্ত্রী লিঙ্গের ছায়া আমাদের ও কাল্পনিক করে যাবে নৈসর্গিক ফটোচিত্রে ডুবিয়ে
বায়বীয় যান থেকে নেমে আসা অসংখ্য রোগীর তলপেট আনাস্তেসিয়া পুরুষ মানুষকে জাগিয়ে নীল চোখ খুবলে খাবে সামান্য ভগ্নাংশ ভিজিয়ে
তীক্ষ্ণ দাঁতওয়ালা ফরসেপ চালিয়ে যাবে অনন্ত নিরাময়ের জন্য
সম্প্রদান কারকের পর আর রেতঃপাত চিহ্ন দেখা যায় না বলেই শুধু বিষের মতো নবম কশেরুকা ভেঙে উড়ে যায় ময়ূরীর ঠোঁট ও ১১ জোড়া ভগ্নাংশ বিহীন সান্ধ্যকালীন জ্যামিতি

দেয়ালে টাঙানো মহাভারত থেকে  নৈসর্গিক আলো নেমে আসছে এবার  , আমি সারাদিন ঘুমের ওষুধ চুরি করে খাচ্ছি কোন মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখব না বলে

লেখা পাঠাতে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here