জ য়ি তা চ ট্টো পা ধ্যা য়-র গুচ্ছ কবিতা

0
165
পরিচিতিঃ  জয়ীতা চ্যাটার্জীর জন্ম: শ্যামনগর, উত্তর ২৪পরগনা(1987) স্কুল: শ্যামনগর বালিকা বিদ্যালয় ভিক্টোরিয়া ইন্সটিটিউশান থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পরে আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ব্যচেলার ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন। দীর্ঘ ১০ বছর বিভিন্ন জীবিকার সাথে যুক্ত ছিলেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্টেট সেন্ট্রাল লাইব্রেরিলাইব্রেরি , বারাসাত ইন্দিরা গান্ধী হাই স্কুল, ইনডাস ওয়ার্ল্ড(মহারাষ্ট্র, আহমেদ নগর)। উন্মেষ, আলেয়া, আমরা সহযাত্রী, সংস্কৃতি বার্তা,মৌন মুখর, নবাবী, দৃষ্টি সাহিত্য পত্রিকা, বর্ণকোষ, শব্দের ঝংকার, কলতান, অবগুণ্ঠন, ক্র্যাকার, ইচ্ছেকুঁড়ি,  সাহিত্য সমাগম, ধানসিঁড়ি… প্রভৃতি বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে তিনি লিখে চলেছেন অনবরত।এছাড়াও গান, আঁকা ও কি বোর্ড বাজানোর প্রতি বিশেষ আগ্রহ তাঁর। আজ বাইফোকালিজম্ জুড়ে তাঁরই কবিতা।

 

জ য়ি তা চ ট্টো পা ধ্যা য়-র গুচ্ছকবিতা

 

চিত্রঃ ২
অবগাহন

 

আমি দাঁড়িয়ে থাকি ঝড়ে জলে একাকার হয়ে
শরীরে আমার কচিপাতার ঘাম
তুমি ও বুকের জলে ঝরে পড়ো
আমিও সারা রাত তোমার ভেতর নামলাম।।

 

তিল

 

রয়ে গেল তোমার আলতো ছোঁয়া
ঠোঁট জুড়ে আমার সন্ধ্যা ভেজা দিল
দিন আসে তোমার হাতে এলোমেলো হয়ে
তোমার ঠোঁটে আঁকছি আমি তিল।।

 

পংক্তি

 

একলা আমার শহরেরা আঁকছে সবকিছু
তুমি ও যদি ফেলে দাও ছুঁড়ে ‘আমি
জড়ো করি তাই দুহাতে পাহাড়ি মেঘ
ভাঙা কবিতায় তোমায় রেখে
আমি পংক্তিতে রোজ নামি।।

 

ঘরের কোন

 

তোমায় আমি ডাক দিয়েছি অন্ধকারে
আমার মতো স্পর্শ কি কেউ করতে পারে?
তোমার নামের রূপকথারা বক্ষ জুড়ে
এক পৃথিবী যেভাবে রোজ তারায় নামে, বহু দূরে
আমিও যে রোজ পৌছতে চাই তোমার কাছে
কবিতাদের ও সত্যের মতো অর্থ আছে
আলোর থেকে আঁধারে যাই, আস্তে আস্তে দূরে কোথাও, তোমায় বলছি! এবার আমায় গুহার থেকে বার করে নাও। সাজিয়ে আঙুল আমার দেহে ফুল যে ফোটাও, একলা পাখি ভোরের বেলা সূর্য ওঠাও

আমার ভেতর বসত করে আমাকেই যে বিষম মারো

সারিয়ে তোলো বাজ পোড়া মন, সারিয়ে তোলো অন্ধকার ও আমার কাছে আগলে রাখি অমূল্য সেই পত্রটটুকু, তোমার জলে উপচে ওঠে সহজ হয়ে আমার দুপুর, নৌকা হয়ে ঘুরছি ফিরছি আমিও তো রোজ আপন মনে, তোমায় দেওয়া প্রতিশ্রুতি শ্রাবন নামায় ঘরের কোনে।।

আশ্বাস

 

তুই এলে আমার আলোর শহর
চমক লাগায় অন্ধকারে
ঝরতে থাকে বৃদ্ধ পাতা
আনমোনা মন খুঁজতে থাকে
হারিয়ে গেছে অঙ্ক কতো
হারিয়ে গেছে মনমরা জল
পর্দা ওড়ে শূন্য ঘরে
বুকের ভেতর একলা নদী, রাত্রি ছোবল
সবই আছে তবুও যেন
আজ ও আমার কিচ্ছুটি নেই
রাতগুলো সব ঘুমিয়ে থাকে পথের পাশে
স্বপ্নেরা সব মেলে ডানা রাত বিরেতেই
আমার চোখে ক্লান্তিমাখা মেরুন শহর
শরীর জুড়ে বইতে থাকা বৃদ্ধা নদী
মনকে বোঝাই শহর থেকে অনেক দূরে
অন্ধকারে আসতে পারিস আবার যদি।।

 

তোমায় পেলে

 

আজ আকাশ থেকে ঝরে পড়ে
একলা থাকা চোখের জল
দূর শহরে তোর যে বাড়ি
বুকের ভেতর বাসস্হল
সবার মতো আমিও যেন
এত্তো ভিড়ে ভীষণ একা
চুপ বালিশে কিসের যে দাগ
জ্বলছে প্রদীপ লাগছে ছ্যাঁকা
হাসির নীচে লুকিয়ে রাখি
শীতল, প্রাচীন, হিমেল নদী
চতুর্দিকে চক্রব্যূহ
বাঁধবে আমায় আবার যদি
সামলে রাখি বুকের ভেতর
অন্ধকারে নাই বা গেলে
রাখছি ধরে হাতটি চেপে
ফিরবো কি আর তোমায় পেলে।।

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here