অ র্ক প্র ভ ভ ট্টা চা র্য-র দুটি গদ্যের খসড়া

0
100
পরিচিতিঃ জন্ম ২০০০ সালে, চুঁচুড়ায়। ২০২০ তে গ্র্যাডুয়েশন।  লেখালেখি শুরু ২০১৮ সাল থেকে, অনিয়মিতভাবে। মূলত কবিতাই লিখতে ভালোবাসেন। পাশাপাশি গদ্যও লিখছেন। প্রথম গল্প প্রকাশ আনন্দমেলায়। এছাড়া যুগশঙ্খ, একদিন, উত্তরের সারাদিন, নতুন কবিসম্মেলন, উৎসব , অভিষিক্তা ও অন্যান্য অনেক বাণিজ্যিক ও লিটল ম্যাগাজিনে কবিতা ও গদ্য প্রকাশিত হয়েছে। বন্ধুরা মিলে ‘মকটেল’ নামে একটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করে থাকেন।বাইফোকালিজম্-এ আজ তাঁরই দুটি ছোট গদ্য রইল পাঠকদের জন্য।

 

অ র্ক প্র ভ ভ ট্টা চা র্য-র দুটি গদ্যের খসড়া

ছাতা

 

আচমকা কালো মেঘ শহরের উপর আছড়ে পড়েছে। এই শহরে বৃষ্টি যে কতটা ভয়াবহ রূপ নেয় , সে কথা শহরবাসীদের কাছে অবগত। নগরবাসীরা চিন্তিত হয়ে ধড়ফড়িয়ে বেরিয়ে পড়ছে আগেভাগে। যারা বেরোতে পারবে না, তারা বাড়িতে ফোন করে জানাচ্ছে। এই সময়েও যে বৃষ্টি হতে পারে সকলের ধারণার বাইরে । কোনো পূর্বাভাসেও তেমন জোরালো কিছু উল্লেখ ছিল না। ফলত এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বৃষ্টিতে ভেসে গেলে শহরটার ধীরে ধীরে সমস্ত কাজে বিঘ্ন ঘটবে। বৃষ্টি যখন সত্যিই নেমে এল, সবাই আশ্রয় নিল ফুটপাত কিংবা আশেপাশে কোনো শেডের তলায়।

এইসব বৃষ্টিকে অগ্রাহ্য করে একটা ছাতা ভেসে আসছে। কালো রং। সবাইকে পাশ কাটিয়ে চোখের সামনে রাস্তায় ভাসতে ভাসতে এগিয়ে চলেছে। কারো কারো নাগালে এলে লাফিয়ে ঝাপিয়ে চেষ্টা করছে ধরার। কিন্তু নাগালের মধ্যে নেই। এখন একটি প্রতিযোগিতা চালু হয়েছে: যিনি প্রথম ছাতা ধরতে পারবেন , তাকে নগদ ৫০০০০ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে।

পথ

 

আমাদের ভিতরে যে পথ আছে তাকে খুঁজে যাওয়াই পথ চলা। খোঁজা মানে গন্ধ অনুসরণ করা। প্রথম যাঁরা পথকে খুঁজে পায় তাঁদের গন্ধ এখনও স্পষ্ট । আমরা শুধু গন্ধ আবিষ্কারক। পথের বর্ণমালা পড়তে জানলে পথকে চেনা সম্ভব। নয়তো পথকে চেনা আর পথকে জানার তফাৎ ঘটে। পথে পথে মিলে গেলে আমরা যাকে তেমাথা চৌমাথা বলি, সেসব পথের কাছে উৎসব। এই মোড়গুলো বড় অদ্ভুত। ট্রাফিক সিগন্যাল। ঘন ঘন ল্যাম্পপোস্ট। আলো পড়ছে। আলোতে আলোতে ঢাকা মানুষের মিছিল। এখান থেকে সবাই ভাগ হয়ে ক্রমশ দূরে চলে যায়। রাস্তা ভাগ হওয়ার মঞ্চ। এই মোড় থেকে সামনে এগোলে অন্য রাস্তার রঙের বিজ্ঞাপন। আবার কোনও মোড়ে পাল্টাবে রঙ।

লেখা পাঠাতে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here